একজন নারী একাধারে একজন মা, একজন স্ত্রী ও একজন গৃহিণী। একটি জাতির উন্নতি, অগ্রগতি কিংবা অবনতি যেমন নির্ভর করে শিক্ষা-দীক্ষার উপর; তেমনি শিক্ষা অনেকটা নির্ভরশীল পরম মমতাময়ী মা'র উপর। "মা" যদি শিক্ষিত, জ্ঞানী, চরিত্রবতী, বুদ্ধিমতী, সচেতন ও খোদাভীরু হন তাহলে তার সন্তান ও ঐসব গুণের অধিকারী হবে বৈকি?একটি জাতির উন্নতি ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে নারী সমাজের সুষ্ঠু ও সুশিক্ষার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা শিক্ষিত ও আদর্শ নারী যে পরিবারে থাকে সে পরিবার শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয় এবং তাদের কোলেজন্ম নেয়া সন্তানগুলো নৈতিকতাসম্পন্ন, শিক্ষিত ও চরিত্রবান হয়ে বেড়ে উঠে। শিক্ষিত ধর্মভীরু আদর্শ মায়ের গঠনমূলক শিক্ষা ও উপদেশই পারে সন্তানকে পারে সন্তানকে বেহায়াপনা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অবৈধ অর্থ উপার্জন, দূর্নীতি, অশ্লীলতা, নৈতিকতার অবক্ষয় ও অন্যের অধিকার হরণ ইত্যাদি গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখতে। একজন শিক্ষিত নারী একটি পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পর্যন্ত বদলে দিতে পারে।
তাই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ তাকওয়ার উপর ভিত্তি করে ২০১২ সালে মূলত নারী শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নকারী মেয়েরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনবিদ, সাংবাদিক, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষক, অধ্যাপক হওয়ার পাশাপাশি কুরআন ও সুন্নাহর দীক্ষা গ্রহণ করে নৈতিকতা সম্পন্ন এবং দ্বীনদার আদর্শ নারী বা মা হিসেবে তৈরি হয়ে একটি আদর্শ পরিবার, সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্র গঠনে দৃপ্ত ভূমিকা রাখতে পারবে- ইনশাআল্লাহ।